দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ছাত্রজীবনে চলাচলকারী সময়ের ট্রেন ভাড়া পরিশোধ করলেন রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি বহরপুরের বেতেঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ নওশের আলী শেখ। আত্মতুষ্টির জন্য ট্রেন ভাড়া বাবদ তিনি রেলওয়ে কোষাগারে নগদ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমারের হাতে তিনি এই টাকা তুলে দেন।
জানা যায়, নওশের আলী শেখ সাবেক উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি বহরপুরের বেতেঙ্গা গ্রামে তার বাড়ি। ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করার পর ভর্তি হন রাজবাড়ী সরকারী কলেজে। ওই সময় প্রায় ৪ থেকে ৫ বছর নিয়মিত তিনি বহরপুরের আড়কান্দি স্টেশন থেকে ট্রেনে রাজবাড়ীতে আসা-যাওয়া করতেন। তখন কখনো টিকিট কাটতেন আবার কখনও কাটা হতো না।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দাস বলেন, তার চাকরি জীবনে এরকম ঘটনা বিরল। সকালে হঠাৎ তার অফিসরুমে এক বৃদ্ধসহ কয়েকজন আসে। এবং ওই বৃদ্ধ জানায়, তিনি ছাত্রজীবনে আড়কান্দি হতে বিনা টিকেটে ট্রেন ভ্রমণ করে রেলের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। যা ঠিক করেননি। সে জন্য তিনি লজ্জিত। এবং তার ভুল বুঝতে পেরে রাজস্ব হিসাবে রেলওয়ে কোষাগারে ৫ হাজার টাকা জমা দেবেন।
তিনি আরও জানান, রেলওয়ে কোষাগারে কেউ যদি তার ভুল বুঝতে পেরে টাকা জমা দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহণ করে। সে ধারাবাহিকতায় নওশের আলী শেখের দেয়া ৫ হাজার টাকা তিনি গ্রহণ করেছেন। এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই টাকা কোষাগারে জমা দেবেন। বৃদ্ধ এই নওশের আলী রাজবাড়ীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন। তাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে।
বৃদ্ধ নওশের আলী শেখ বলেন, ১৯৬৯ সাথে এসএসসি পাস করার পর রাজবাড়ী সরকারি কলেজে ভর্তি হন। সে সুবাদে বহরপুরের আড়কান্দি স্টেশনে থেকে প্রায় ৪/৫ বছর রাজবাড়ীতে আসা-যাওয়া করতেন। সে সময় কখনো টিকিট কাটতেন আবার কখনো না কেটেই চলাচল করতেন। ফলে রেলওয়ের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। এজন্য তিনি রেলওয়ের কাছে ঋণী। টাকা জমা দেবার পর নিজেকে অনেক হালকা লাগছে।